April 29, 2024, 10:41 pm

সংবাদ শিরোনাম
সারাদেশের মতো রংপুরের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভোক্তার ডিজি আবাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাফেজ ও এতিমদের মাঝে পোশাক ও সেলামী প্রদান কক্সবাজার টিসিবির পণ্য মজুদ ও বিক্রির অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা দুস্থদের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবার কলাপাড়ায় দেখা মিললো বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত লাউডগা সাপের কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিলেন প্রভাবশালী কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি- ২০২২ প্রদান নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে পণ্যের দাম কমছে :রংপুরে ভোক্তা ডিজি ব্রহ্মপুত্র নদে আড়াই মাস ধরে চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল বন্ধ বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রতিবছর দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে ২০ থেকে ২৫ লাখ করে

প্রতিবছর দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে ২০ থেকে ২৫ লাখ করে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

জনবহুল এই বাংলাদেশে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। দেশের জনসংখ্যায় প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ নতুন যুক্ত হচ্ছে। এটা একটি জেলার জনসংখ্যার সমান। গতকাল বুধবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৯তম এ দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবারের মতো ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একই সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৪৫/২১৬ নম্বর প্রস্তাব পাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছর এ দিনটিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৮ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ঋধসরষু চষধহহরহম রং ধ ঐঁসধহ জরমযঃ’ বাংলায়- ‘পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার’-কে সামনে রেখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, বাংলাদেশে নারী প্রতি গড় সন্তান জন্মগ্রহণের হার ৬.৩ থেকে কমে ২.১-এ দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে এই গড় হার ২.৫। এ কর্মকাণ্ডের সফলতা থাকার পরও কম আয়তনের এই দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। যে কারণে এ জনসংখ্যা উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতিপাদ্য বিষয়টি এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আগামি প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিতে চায় মানবাধিকার এবং উন্নয়নের সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনার সম্পর্ককে। এ ছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে ৬২ শতাংশ দম্পতি আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করছে যা তাদের প্রজনন অধিকারকে সুসংহত করছে। কিন্তু এখনও ৫৯ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৮ বছর পূর্ণ হবার আগেই। আবার তাদের ৩১ শতাংশ প্রথম বা দ্বিতীয় বারের মতো গর্ভবতী হন ৪৭ শতাংশ মাত্র পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করে। এসব দিক বিবেচনায় রেখে বাল্যবিবাহ ও কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ হ্রাসের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। ১৬৭৬৭ নম্বরে সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি কল সেন্টার যোগ করেছে একটি নতুন মাত্রা। এ খাতে প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। তবে উন্নয়নশীল দেশ হবার পরও আমাদের ২০ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকার কারণে অপুষ্টি, অশিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। যে প্রভাব পড়ছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মা ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধির উপর। এ পরিস্থিতিতেও অপুষ্টির হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং শিক্ষার হার ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হারও আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ১৭৬ জন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে শিশু মৃত্যুর হার। এদিকে দেশে বর্তমানে ৪০ ভাগ ডেলিভারি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে হচ্ছে। বাকি ৬০ ভাগ নিজ বাসাতেই হচ্ছে। আবার দেশের প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে ৮৫ ভাগ ডেলিভারি সিজারের মাধ্যমে হচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি সিজার একটি দেশে হতে পারবেনা। তবে তা সমাধানে বদ্ধপরিকর ও সফলতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। এ বিষয়ে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সহযোগিতা করলেও মূল কাজ করছে সরকার ও এদেশের জনগণ। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএফপিএ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আসা টোরকেলসন (অংধ ঞড়ৎশবষংংড়হ) জানান, প্রতিটা মা ও শিশুকে জন্মের সময় ওপরে নিরাপত্তা দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা এ দেশের উন্নতি লক্ষ্য করছি, যেটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর